★ডেস্ক রিপোর্ট:
প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) সদস্যদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, চেইন অব কমান্ডের প্রতি আস্থাশীল থেকে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে। নি-িদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশিক্ষণ জরুরি। অতীত ও ইতিহাসের শিক্ষা নিয়ে আগামী আলোকিত করতে পিজিআরকে কাজ করে যেতে হবে। বিশেষায়িত এই বাহিনীর ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল ঢাকা সেনানিবাসের পিজিআর সদর দফতরের শহীদ ক্যাপ্টেন হাফিজ হলে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ কামাল রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন। দুঃখজনক হলেও সত্যি, পিজিআর প্রতিষ্ঠার মাত্র ৪২ দিনের মাথায় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু ও বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা শহীদ হন। সেদিন আমরা আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাকে রক্ষা করতে পারিনি, সেটা ছিল আমাদের অমার্জনীয় অপরাধ।
সেদিন যদি পিজিআর আজকের মতো সুসংগঠিত ও চৌকশ হতো তাহলে হয়তোবা ঘাতক দল ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করতে পারত না। বাঙালি ও বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ইতিহাস অন্যরকম হতে পারত। দেশ পরিণত হতো জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায়। রাষ্ট্রপতি পিজিআর সদস্যদেরকে বলেন, তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ অন্যদিকে গৌরবময়।
বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও অনেক দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিআইপি) বর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তারা দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছেন।
রাষ্ট্রপতি একটি সুশৃঙ্খল, পূর্ণাঙ্গ এবং স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টকে বর্তমান অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করার কারিগর হিসেবে প্রাক্তন সদস্যদের অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা, ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা ও প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন করেন এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। তিনি সেখানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি কেক কাটেন।
Leave a Reply